
এক কথায় বলতে গেলে বিটরুট হচ্ছে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের এক বিসাল ভান্ডার। এতে আপনি পাবেন ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন এতে আপনি পাবেন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন এবং পটাশিয়াম। এবং আরও রয়েছে ফাইবার (Fiber) ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে (Antioxidant) এর মত উপাদান। আর এত কিছুর জন্যই বিটরুটকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। চলুন তাহলে যেনে নেই, বিটরুটের কিছু বিশেষ বিশেষ উপকারিতার কথা-
- বিটরুট (Beetroot) – শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থকে ।
- এতে থাকে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- বিটে রয়েছে লুটেইন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
- এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে
- বিটরুটের থাতা পুষ্টি উপাদান ত্বক সুন্দর রাখে এবং চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
- বিটরুট- অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে, যা বিভিন্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- বিটরুটে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়।
- বিট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে, বিটের জুস তা কমাতে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটরুটের জুস খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য বিটরুট খুবই কার্যকরী।
কিভাবে খাবেন?
- বিটরুট পাউডার (Beetroot Powder) যেকোনো ধরনের পানীয়, সরবত, স্যুপ, সালাদ বা অন্যান্য খাবারে সাথে সহজেই মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- সাধারণত দিনে ১-২ চা চামচ বিটরুট পাউডার খাওয়া নিরাপদ।
- বিশেষত সকালে বা ব্যায়ামের আগে খেলে সর্বাধিক উপকার পাওয়া যায়।
কীভাবে সংরক্ষণ করবেন?
বিটরুট পাউডার- শুকনো ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করতে হয়। এটি ভালো ঢাকনা বা প্যাচ ওয়ালা ঢাকনা (মুখ্যা/মুখা) যুক্ত পাত্রে/ বয়ামে (Airtight Jar) সংরক্ষণ করুন যাতে বিটরুটের তাজা গন্ধ ও রং বজায় থাকে।